গল্পের ভান্ডার 📖
গল্প: কাছের মানুষ
পর্ব – ১: ছাদে বসন্তের আলো
ছাদে বসন্তের বিকেল নেমেছে একদম নিঃশব্দে।
সন্ধ্যার আলোর পূর্বছায়ায় লালচে সোনালি একটা রঙ মিশে গেছে চারপাশে। বাতাসে শিমুল ফুলের গন্ধ—শুধু গন্ধই না, কেমন যেন একটা বিষণ্ণতা, একটা পুরনো দিনের হাতছানি।
ইস্রা ধীরে ধীরে ছাদে ওঠে। খুলনার এই পুরনো ফুপু বাড়িটার প্রতি একটা অদ্ভুত মায়া আছে ওর। চুন খসে পড়া দেওয়াল, সবুজ শ্যাওলা ধরা কর্নার, ছাদে ঝুলে থাকা পুরনো টেলিভিশনের অ্যান্টেনা—সব মিলিয়ে একটা অলিখিত ইতিহাস যেন এখানে আটকে আছে। এখানে সময়টা একটু ধীর চলে, মানুষের মুখে শব্দ কম কিন্তু চোখে অনেক কিছু লেখা থাকে।
এমন সময় হঠাৎ একটা গলা কানে আসে—
"ইস্রা?"
একটা ধাক্কা খায় ওর ভিতরের মন। এই গলার টানটা, উচ্চারণের ঢঙ, মৃদু হাসির ভঙ্গি—সবকিছু এতটা পরিচিত যে হঠাৎ বুকটা ধক করে ওঠে।
ও ঘুরে দাঁড়ায়।
সামনেই দাঁড়িয়ে আছে তৌহিদ ভাইয়া।
তৌহিদ—ওর ফুপাতো ভাই। পাঁচ বছরের বড়। ছোটবেলা থেকে যাকে নিয়ে ওর দুনিয়ার অনেক গল্প, অনেক আনন্দ, আবার অনেক না বলা অনুভবও গাঁথা হয়ে আছে।
তৌহিদ ভাইয়া তখন মেডিকেলে পড়ত, আর ইস্রা তখন মাত্র স্কুলে। কিন্তু ভাইয়ার সাথে সম্পর্কটা ছিল অন্যরকম। খেলনা গাড়ি থেকে শুরু করে, ক্লাসের হোমওয়ার্ক, ঈদের জামা, এমনকি প্রথম দুষ্টুমিতে বকা খাওয়ার স্মৃতিও—সবটাই তৌহিদের ছায়ায় রঙিন হয়ে থাকতো।
– "তুই কিছু বলছিস না?"
তৌহিদের গলায় কেমন যেন পুরনো একটা অভিমান লুকানো।
ইস্রা একটু হেসে বলে,
– "বলবো কী! এত বছর পর এমন করে সামনে দাঁড়িয়ে যাবি, তা ভাবিনি তো।"
– "হুম... সাত বছর তো কম সময় না। কিন্তু আমার কাছে মনে হলো, তুই ঠিক সেই আগের ইস্রা। চোখ দুটো একটু বড় হয়ে গেছে, চুলগুলো একটু বেশিই এলোমেলো, তবে হাসিটা—ঠিক আগের মতোই রয়ে গেছে।"
ইস্রা চুপ করে যায়। বুকের ভেতর কেমন অস্বস্তি, আবার কেমন যেন আলোড়ন।
তৌহিদের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। মাথার চুলে খানিক পাক ধরা, মুখে একটা গাম্ভীর্য, কিন্তু চাহনিটা... ঠিক আগের মতোই। যেন ওর মুখের প্রতিটি অনুভব পড়ে নিতে পারে সহজেই।
– "তুই এখনও ঢাকায়?"
– "হ্যাঁ, ঢাকা মেডিকেলে পড়াই এখন। তোর খবর শুনি মাঝেমধ্যে।"
তারা দুজন ছাদের উত্তর-পশ্চিম কোনায় গিয়ে বসে। নিচে লিচু গাছের মাথা দুলছে বাতাসে। দূর থেকে আজানের ধ্বনি আসছে।
– "তুই জানিস?"
– "কী?"
– "তোকে মিস করতাম, রীতিমতো। এমনকি তোকে নিয়ে একটা ডায়েরিও লিখতাম। ফুপি বলত, ভাই-বোনের মাঝে দূরত্ব রাখা ভালো। আমি ভাবতাম, কেন? তোকে তো আমি ভাইবোনের চেয়ে অনেক বেশি কিছু ভাবতাম..."
ইস্রার চোখে জল এসে যায়। সে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
কোনোদিন বলার সাহস হয়নি—তৌহিদ ভাইয়ার প্রতি নিজের অনুভবের কথা। কোনোদিন বলতে পারেনি যে যখন বন্ধুদের প্রেম নিয়ে কথা বলতো, তখন ওর মনের কোন এক কোণে শুধুই তৌহিদের মুখ ভেসে উঠতো।
ভালোবাসা শব্দটা উচ্চারণ করার মতো সাহস তো দূরের কথা, সেই সম্পর্কটার নামও জানতো না ইস্রা।
কিন্তু আজ... এত বছর পর... সেই ছাদে, সেই পুরনো শহরের বাতাসে, সেই মুখটা আবার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে—সব অতীত যেন চোখের সামনে সিনেমার মতো ঘুরছে।
তৌহিদ হঠাৎ একটা কথা বলে,
– "ইস্রা, আমরা কী পারি না? নতুন করে শুরু করতে?"
ইস্রা চমকে তাকায়।
– "কী শুরু?"
– "এই সম্পর্কটা, যেটা ছোটবেলায় ছিল। এখন একটু অন্যভাবে, একটু পরিণতভাবে। আমি জানি, মানুষ সমাজ দেখে। কিন্তু তুই আমার আপনজন ছিলি, আর এখনও আছিস। তুই চাইলে আমি—"
ইস্রা তৌহিদের কথা থামিয়ে দেয়,
– "একটু সময় দে ভাইয়া... মানে, তৌহিদ। শুধু একটু সময়।"
তারা দু’জনে চুপচাপ বসে থাকে। সময় থেমে যায়। বাতাসে কেবল লিচু পাতার মৃদু শব্দ।
সেই মুহূর্তে ইস্রার মনে হচ্ছিল, কিছু অনুভবের ভাষা হয় না। কিছু ভালোবাসা সমাজের সংজ্ঞার বাইরে, কিন্তু তবুও সত্যি।
পর্ব – ২: ডায়েরির পাতায় জমে থাকা গল্প
রাতটা যেন আজ একটু বেশি নিঃসঙ্গ।
ফুপু বাড়ির সেই দক্ষিণ দিকের বারান্দার জানালার ধারে বসে ইস্রা চুপচাপ একটা পুরনো ডায়েরি খুলে বসেছে। ডায়েরিটার পাতায় পাতায় শুকিয়ে যাওয়া গন্ধ আছে—স্মৃতির গন্ধ। যেন পুরনো প্রেমের, না বলা কথার, চোখের ভাষার গন্ধ।
একটা পাতায় লেখা—
"১২ই আগস্ট ২০১৭
আজ তৌহিদ ভাইয়া হঠাৎ করে বলল, আমি নাকি বড় হলে নিশ্চয় অনেক ছেলেকে প্রেমে ফেলবো। বলেই হেসে দিল। আমি হেসেছিলাম ঠিকই, কিন্তু আমার বুকের ভিতর কেমন করে উঠেছিল। আমি চাই না কেউ প্রেমে পড়ুক আমার, আমি চাই শুধু তৌহিদ ভাইয়া আমাকে একটু অন্যরকম ভাবে দেখুক।"
ইস্রা চুপচাপ সেই লেখা পড়তে থাকে। তখন সে ছিল ক্লাস নাইনে। কত সহজ ছিল অনুভব—আর কত কঠিন ছিল সেই অনুভবকে বোঝানো।
তখনো বুঝত না—একটা সম্পর্ক কীভাবে ধীরে ধীরে তার সীমারেখা অতিক্রম করে। তৌহিদ ভাইয়া তার বড় কাজিন, সমাজ বলবে ‘ভাই’—কিন্তু তার অনুভবগুলো কি সমাজের সংজ্ঞা মেনে চলে?
পরদিন সকালে, ইস্রা নাস্তার টেবিলে বসতেই তৌহিদ আসলো। কালকের বিকেলের পর যেন ওর চোখে একটু জড়তা, কিন্তু সেই চেনা উষ্ণতা আজও আছে। চা হাতে নিয়ে সে জিজ্ঞেস করলো—
– "ডায়েরি লেখিস এখনো?"
ইস্রা একটু চমকে গেল।
– "তুই জানিস আমি ডায়েরি লিখি?"
– "তুই যে রাতে জানালার পাশে বসে ডায়েরি লিখতি, আমি জানতাম সব সময়। মাঝে মাঝে তোদের ঘরের নিচে দাঁড়িয়ে ভাবতাম—এই মেয়ে জানে না, সে কার জন্য লিখছে, আর সেই মানুষটা কতটা বোকার মতো চুপ করে থাকছে।"
এই প্রথমবার ইস্রার চোখে পানি চলে আসে—না দুঃখে, না আনন্দে।
কেবল একটা স্বস্তির অশ্রু। এতদিনের নিরব ভালোবাসার স্বীকৃতি পেয়ে যেন হঠাৎ মন খালি হয়ে গেল।
– "তুই কিছু বলিসনি কখনো..."
– "ভয় পেয়েছিলাম। আমি যদি কিছু বলতাম আর তুই মুখ ফিরিয়ে নিতিস? তখন তোকে হারিয়ে ফেলতাম। তোর তো তখনও চোখে কলেজ, ক্যারিয়ার, বন্ধু... আমি ভাবতাম, সময় হলে বলবো। কিন্তু সময়টা বুঝে উঠতে পারিনি।"
কিছু সময় চুপচাপ কেটে গেল।
– "তুই এখন কারো সাথে... মানে... সম্পর্ক?"
তৌহিদের মুখে হালকা বিস্ময়।
– "ছিল একবার। তিন মাস। সে বিয়ে নিয়ে তাড়া দিচ্ছিল। আমি ভাবলাম, আমি তো এখনও অন্য কাউকে ভুলিনি... তাই শেষ করে দিলাম।"
ইস্রা কিছু বলে না। মনে মনে ভাবে, কত সহজে ছেলেরা এমন কথা বলে দেয়। অথচ মেয়েরা কত বছর বয়ে বেড়ায় সেই অস্বীকৃত অনুভব।
বিকেলে ইস্রা ছাদে উঠে গেল। আবার সেই উত্তর কোণ, সেই বাতাস, সেই বিকেল। কিন্তু আজ কিছু বদলে গেছে। আজ মনে হচ্ছে, সেই অতীত আর একতরফা নয়—তারও একটা পাল্টা সুর ছিল।
তৌহিদ পাশে এসে বসলো।
– "তুই কী ভেবেছিস আমার কথার উত্তর নিয়ে?"
– "আমি জানি না, তৌহিদ। এতদিন যেটা ভাবতাম একতরফা, সেটা যদি সত্যি হয়, তবে আমার ভয় করছে। এই সম্পর্কটা সহজ না। মা-বাবা জানলে কেমন নেবে? মানুষ কী বলবে?"
– "মানুষ বলবে অনেক কিছু। তুই শুধু বল, তুই কী চাস। আমি সমাজকে নিয়ে ভাবি না। আমি তোকে নিয়ে ভাবি।"
ইস্রার চোখে আবার জল চলে আসে।
– "আমি চাই... আমি চাই তুই থাকিস। তবে কিছু সময় দে। আমার অনুভবগুলোকে নিজের মতো করে জায়গা দিতে দে। তুই এত বছর যে অনুভব নিয়ে থেকেছিস, আমিও বাঁচতে চাই তেমন করেই... একটু একটু করে..."
তৌহিদ ইস্রার দিকে তাকায়।
– "আমি থাকবো। তুই সময় নে। কিন্তু আমার অনুভব বদলাবে না, কখনো না।"
সেদিন রাতে ইস্রা আবার ডায়েরি খুলে লেখে—
"১১ই জুন, ২০২৫
তৌহিদ ভাইয়া বলেছে সে ভালোবাসে আমাকে।
আজ আমি আর ভয় পাচ্ছি না। শুধু চাই সময়—নিজেকে বোঝাতে, প্রস্তুত করতে।
ভালোবাসা তো গাছের মতো... সময় দিতে হয়... পানি দিতে হয়।
আজ থেকে আমি সেই পানি দেওয়া শুরু করলাম।"
পর্ব – ৩: চোরাস্রোতের গন্ধ
ফুপু বাড়ির বাতাসে আজ কেমন একটা চাপা টান।
মায়ার ভেতরে কোথাও যেন সন্দেহের একটা সুর বাজছে।
ইস্রা বুঝতে পারছে, ফুপু আজকাল ওদের দিকে তাকান একটু অন্য চোখে।
চোখে কখনও মৃদু সংশয়, কখনও কঠিন নিরবতা।
সন্ধ্যাবেলায় ফুপু একবার রান্নাঘরে ডেকে বললেন,
– "তুই ছাদে তৌহিদের সঙ্গে সময় কাটাস, ভালো। ভাই-বোনের বন্ধন মজবুত থাকা দরকার। তবে কিছু জিনিস থাকে, বুঝে চলতে হয় মা। সমাজ যেমন মুখে বলে, ভেতরে কিন্তু অনেক হিসেব-নিকেশ করে।"
ইস্রার গা গুলিয়ে উঠলো।
তার মানে ফুপু কিছু টের পেয়েছেন? নাকি কেবল সাবধান করছেন?
সেদিন রাতে তৌহিদ যখন ফোন দিল, ও কিছুই বললো না। শুধু বললো,
– “আমি একটু একা থাকতে চাই কিছুদিন।”
পর্ব – ৪: দূরত্বের দিনগুলো
তৌহিদ বুঝে গেল, ইস্রা সময় চায় মানে—ভয় পাচ্ছে।
সম্ভবত একরকম যুদ্ধ করছে ওর ভেতরে—ভালোবাসা বনাম সমাজ, হৃদয় বনাম সম্পর্কের ট্যাগ।
ইস্রা ঢাকায় ফিরে এলো।
ক্লাসে যায়, রুটিন ঠিক রাখে, বন্ধুদের সঙ্গে হাসে, কিন্তু রাত হলেই চুপ করে যায়।
ডায়েরির পাতা শুধু একবার লিখল—
"তৌহিদ ফোন দেয় না আর। আমিও দেই না।
ভালোবাসা কি আসলে সাহসীদের জন্য? আমি কি কাপুরুষ?"
এই সময়টাতে হঠাৎ একটি নতুন চরিত্র প্রবেশ করলো—রায়হান।
ইস্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী।
ভদ্র, চুপচাপ, গভীর চোখের মানুষ।
রায়হান বুঝতে পারতো ইস্রা ভেতরে গুমরে কাঁদে।
একদিন বলেই ফেললো,
– “তোমার চোখে একটা স্থায়ী অভিমান আছে। আমি হয়তো মুছে ফেলতে পারব না, তবে পাশে দাঁড়াতে পারি যদি চাও।”
ইস্রা কিছু বললো না।
তবে মনে মনে বুঝলো—জীবনে অপশন আসে, কিন্তু অপশন মানেই প্রতিস্থাপন নয়।
পর্ব – ৫: পরিবারের মুখোশ খোলার দিন
এক সন্ধ্যায় ফুপু হঠাৎ ইস্রাকে ডাকলেন একা।
– “তুই জানিস, তোর আব্বা-মা একবার আলাপ করছিল তোর আর তৌহিদের সম্পর্ক নিয়ে। আমি বাধা দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, সমাজ কী বলবে? কাজিন? ভাই-বোন! কিন্তু পরে বুঝেছি... আমি তোর দাদী হইনি, তুই যদি তোর জীবন বেছে নিতে চাস, তবে সেটা তোর অধিকারের মধ্যেই পড়ে।”
ইস্রা বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল।
– “আপনি বলছেন...?”
– “তৌহিদ তোকে এখনো ভালোবাসে। জানি। সে এসেছে আমার কাছে। বলেছে সে তোকে বিয়ে করতে চায়। আমি এখন আর বাধা হবো না, মা।”
ইস্রার চোখে পানি চলে আসে। যেন আটকে থাকা আকাশ হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে নেমে এলো।
পর্ব – ৬: তৌহিদের প্রস্তাব
ইস্রা ঢাকায় ফিরে এসে তৌহিদকে ফোন করলো।
তৌহিদ একটাই কথা বললো—
– “এই শুক্রবার খুলনা চলে আসবি। তোকে একটা জায়গায় নিয়ে যাব।”
ওরা গেলো শহরের বাইরে একটা মেঠোপথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে একটুকরো পতিত জমিতে।
সেখানে একটা ছোট্ট কাঠের টেবিল, ফুলের মালা, আর একটি ছোট ঘর—যেটা তৌহিদ নিজে বানিয়েছে।
– “এই জায়গাটা আমি রেখেছি আমাদের জন্য। সমাজ যাই বলুক, আমি চাই তুই নিজের মতো করে সবকিছু বুঝে নে।
তুই যদি হ্যাঁ বলিস, আমি ফুপিদের জানাবো আমরা একসাথে জীবন শুরু করতে চাই।
আর যদি না বলিস, আমি কিছু বলবো না—শুধু এখানটুকু মনে রাখবো, ভালোবাসা সবসময় প্রাপ্তির নামে শেষ হয় না।”
ইস্রা চুপ করে রইলো কিছুক্ষণ।
তারপর ধীরে ধীরে বললো—
– “আমি ভয় পাই, আজও।
কিন্তু আমি তোকে ছাড়া বাঁচার সাহসও পাই না।
তুই পাশে থাকলে আমি লড়তে পারি।
তৌহিদ, আমি তোর স্ত্রী হতে চাই—তোর প্রেমিকা হয়ে নয়, তোর আপন মানুষ হয়ে।”
পর্ব – ৭ (শেষ): নিজের মানুষ
বিয়েটা খুব ঘরোয়া ভাবে হলো।
কিছু আত্মীয় চোখ কুঁচকালেন।
কিছুজন মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
কিন্তু তৌহিদ আর ইস্রার চোখে ছিল একরকম শান্তি—যেটা শুধু সেই অনুভবেই আসে, যা প্রিয়জনের হাত ধরে জীবন পাড়ি দেবার সাহসে তৈরি হয়।
বিয়ের পরের প্রথম রাতে, ইস্রা ডায়েরির নতুন পাতা খুলে লিখলো—
"ভালোবাসা নিষিদ্ধ ছিল না কখনো, কেবল অপ্রচলিত ছিল।
আমরা সেই অপ্রচলিত গল্পের নায়ক-নায়িকা—যারা সমাজের চোখে নয়, একে অপরের হৃদয়ের চোখে নিজেদের গ্রহণ করেছে।
আমি তৌহিদের স্ত্রী, কিন্তু তার আগেই আমি ছিলাম তার সবচেয়ে কাছের মানুষ।"
No comments:
Post a Comment