তুমি শুধু_আমার
# #নাদিয়া
#পর্ব৬
আরাবির দৌড় দেখে আহান ভাবে কি হলো ব্যাপারটা। 😆
ঐদিকে আরাবি রুমে যেয়ে ভাবছে, কি বোকামি করলো। আহান কি ভাববে। আর আহানকে কখনো দেখবেনা। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে কলেজে চলে আসে। এমনিতেও ও আর আহানের সামনে যেতে চায় না।
কলেজে গিয়ে, দেখল দিয়া।
""" দিয়া:- কিরে এতো তারাতাড়ি আসলি? বেপার কি?
""" আরাবি:- তারাতাড়ি এসে কি ভুল করলাম?,
""" দিয়া:- আরে না। অবাক হইছি।😆
""" দিয়া:- আজকে জাতির ক্রাশ আসবে না। প্রতিদিন আসলে প্রব্লেম কি তার😒😭
""""আরাবি:- তাই মন খারাপ তোর?
"""" দিয়া:- হুম।
"""" আরাবি:- আহারে,, (মনে মনে__না আসাই ভালো, সবাই যা করে,একবারে নজর লাগাইয়া দেয়)
""" আরাবি আর দিয়া কলেজ ছুটির পর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ আরাবি রাস্তায় পরে গেল। পা মচকে গেল,হাতেও ব্যথা পেল । আরাবি জড়ে কেঁদে দিল, দিয়া কি করবে বুঝতে না পেরে,, আরাবিরকে বলল আন্টি আঙ্কেলের নাম্বার বল দোকান থেকে ফোন দেই। আরাবি বল্লো তুই আমাকে রিক্সায় উঠাইয়া দে। দিয়া রিক্সা ঢাকলো।
রিক্সা মামা ২০০ টাকা ভাড়া চাইল।
আরাবি পা-হাত ব্যথা নিয়েই রিক্সা মামাকে বলল এত কেন ভাড়া?
রিক্সা একটাও যেতে চায়না। যে যাবে সে ২০০ ভাড়া চাইছে। উপায় না পেয়ে আরাবি উঠে যায়।
দিয়া আরাবি রিক্সায় উঠাইয়া দিয়ে চলে যায়। আরাবি যাচ্ছে আর ভাবছে। দিয়া চিন্তিত হবে তাই পায়ের ব্যথাটা বেশি বুঝতে দেয়নি। কিন্তুু আরাবি হাত-পায়ে খুব ব্যথা পেয়েছে হাত-পা নারাতে পারছে না। ভয় হচ্ছে খুব। পা ভেঙে যায়নি তো।
ঐদিকে দিয়ার বাসা কাছে, তাই দিয়া বাসায় গিয়ে আরাবির মাকে ফোন দিয়ে বলে আরাবী রাস্তায় পড়ে গিয়ে হাত-পায়ে ব্যথা পেয়েছে। আরাবিকে রিক্সায় উঠাইয়া দিছে।
এসব শুনে আরাবির মা কি করবে, আরাবির বাবাকে বললে আরাবির খবর আছে। বুঝতে না পেরে আহানকে ফোন দেয়।
আহান ব্যস্ত থাকায় প্রথমবার ফোন ধরতে পারে নাই।
আরাবির মা আবার ফোন দেয়।
আহান জরুরী কিছু মনে করে ফোন রিসিভ করে।
""""" আহান:- মামুনি কি হয়েছে? আমি অফিসে আছি।
""""মামুনি:- চিন্তিত গলায়--- আহান বাবা আরাবি তো রাস্তায় পড়ে গিয়ে হাত-পায়ে ব্যথা পেয়েছে এখনো রাস্তায় কোথায় আছে জানিনা তুমি কি দেখবে?ও কলেজের রাস্তা দিয়ে বাসায় আসছে।
""""" আহান:- কি বলছ?কিভাবে ব্যথা পেল? আর ও ব্যথা পাবেই।
""""" মামুনি:- চিন্তা হচ্ছে। তোমার চাচ্চু জানলে আজকেও এর খবর আছে।
""""" আহান:- আমি দেখছি, তুমি ভেবনা।
মামুনি:- আচ্ছা।
(#লেখিকা__নাদিয়া)
আহান তাড়াহুড়ো করে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেল আরাবিদের বাসার রাস্তার দিকে।আহান ভাবছে চাচ্চু জানলে আসলেই আরাবিকে আজকেও খুব মারবে, আরাবির বাবা চেয়েছিলেন আরাবির মার ছেলে হবে, কিন্তু আরাবি হওয়াতে আরাবির বাবা আরাবির উপর রেগে থাকেন। কথা কম বলেন। কারো সাথে কোথাও পরিচয় করিয়ে দেন না। এজন্য কলেজেও কেও জানেনা আরাবির পরিচয়।
এসব ভাবতে ভাবতে আহান দেখতে পায় আরাবির রিক্সা।
আহান জোরে গাড়ির হর্ন বাজায়।
রিক্সা মামা রিক্সা থামিয়ে, রিক্সা মামা আরাবি ২জন পিছনে তাকায়।
আহান গাড়ি থেকে নেমে রিক্সার দিকে আসছে।
"""""" আরাবি অবাক হয়ে যায়, আহান কেন এখানে। আরাবি তারাতাড়ি করে পা ঢেকে নেয়।
আহান:- মামা আপনার ভাড়া কত?
রিক্সা মামা:- কিসের ভাড়া? এই আপামনির? উনার ২০০ টাকা।
আহান:- ভাড়া দিয়ে দিল। বলল মামা আপনি যান। আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি।
রিক্সা মামা অনেক খুশি কারন এখনো অর্ধেক এর কম রাস্তা গেছে এতে ২০০ টাকা ভাড়া পেয়ে গেল।
মামা:- আচ্ছা। ধন্যবাদ। 🥰
""""আহান:- রিক্সায় থাকবে নাকি? বাসায় যাবে না?
আরাবি:- আপনি এখানে কেন? আমাকে বা কই নিয়ে যাবেন? আমি যেতে পারবনা।
আপনি কি এখানে এসেছিলেন কাজে?
আহান:- বেশি কথা আমি পছন্দ করি না।
আরাবি:- আচ্ছা। কিন্তু যাবো কোথায়?
আহান;- তোমার বাসায়।
আরাবি:-হাত- পায়ে ব্যথা নিয়ে রিক্সা থেকে নামার চেষ্টা করছে কারণ আহান এখন রেগে গেলে চিল্লাচিল্লি করবে। নামার সময় আরাবি পায়ের জন্য পড়ে যেতে নিলেই আহান আরাবির হাত ধরে। আরাবি লজ্জা পায়। আহানের দিকে তাকিয়ে থাকে। আহান হাত ধরে ধরে গাড়ির সামনে নিয়ে যায়। গাড়ির গেট খুলে আরাবিকে আস্তে আস্তে সিটে বসিয়ে দেয়।
আহান:- সাবধানে।
আরাবি:- আমি বসতে পারবো, আপনার ধরতে হবে না।
আহান ড্রাইভিং সিটে বসে।
আরাবি সিটবেল্ট লাগাবে কিন্তু হাত নিয়ে পারছে না।
ডান হাতের ব্যথা পেয়েছে। বাম হাত দিয়ে চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
আরাবি:- আমি পারছি না। লাগিয়ে দেন।😒
আহান:- এইমাত্র যেন কি বললে?
আরাবি:- যা বলেছি, বলেছি।
আরাবি:- লাগাতে হবে না, তাহলে বসে থাকি, আপনি গাড়ি চালান।
আহান:- sure?
আরাবি:- তো পারছি না কি করব?
আহান সাম্নের দিকে এসে সিট বেল্ট লাগিয়ে দিচ্ছে। আরাবি তো আহানকে দেখছেই আর অস্থিরতা শুরু হয়ে গেছে। আহান একবারও আরাবির দিকে তাকায় নি। আরাবি ভাবছে আহান আরাবির দিকে তাকায় না বেশি। আরাবি শুধু আহানকে দেখে। ভেবে লজ্জা পেল।
সিটবেল্ট লাগানো শেষ করে ড্রাইভিং স্টার্ট করল।
আরাবি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবছে আব্বুকে কি বলবে। জানলে ওরে আজকে মেরেই ফেলবে।
আহান:- ফোন বের করে, মামুনি আরাবি আমার সাথেই আছে।
মামুনি:- আচ্ছা।
আরাবি:- মা জানল কিভাবে? আপনি জানলেন কিভাবে?
আহান:- তুমি পড়ে গেলে কিভাবে?
আরাবি:- আপনি কিভাবে জানলেন?
আহান চুপ করে আছে দেখেই আরাবি বুঝে গেছে আহানের প্রশ্নের উত্তর আগে দিতে হবে।
আরাবি:- দিয়ার সাথে কথা বলতে বলতে হাঁটছিলাম কিভাবে যেন পড়ে গেছি ইটের উপর।
আহান:- কলেজে কথা শেষ হয়না? রাস্তায় ও বলতে হয়?
আরাবি:- রাস্তায় কি চুপ করে থাকব? বোবার মত?
আরাবি:- পুরো রাস্তা তো আমি একাই আসি দুই মিনিটের রাস্তা দিয়ার সাথে হেঁটে আসতে হয়। ওইটুক যা কথা বলি।
আরাবি বলতে আছে বলতেই আছে। আহান শুধু শুনেই যাচ্ছে কিছু বলছে না।
হঠাৎ আরাবি খেয়াল করল। আহান অন্য রাস্তায় যাচ্ছে। আরাবি আহান কে বলল এদিকে না। ভুল রাস্তায় যাচ্ছেন।
আহান কথা না শুনে একটা হসপিটালে সামনে গেল। আরাবি বুঝতে পারল হসপিটালে নিয়ে যাবে।বুঝতে পেরে মুচকি হাসলো। আর আহানের দিকে তাকিয়ে রইল।আহান একটা ফাঁকা জায়গায় গাড়ি পার্কিং করল। নিজে গাড়ি থেকে নেমে আরাবির দিকে যেয়ে গেট খুলে দিয়ে আরাবির হাত ধরে নামিয়ে হসপিটালে দিকে নিয়ে গেল। ডাক্তারের কাছে ড্রেসিং ব্যান্ডেজ করানোর জন্য গেল। ড্রেসিং করানোর সময় আরাবি খুব ভয় পাচ্ছিল। আরাবি ভয়ে আহানের দিকে তাকিয়ে আছে। আহান বুঝতে পেরে আরাবির পাশে গিয়ে বসল।আরাবি আহানের হাত জোরে খামছে ধরলো।
আরাবির খেয়ালী নেই যে ওর নোকের দাগ পড়ে গিয়েছে আহানের হাতে। আহান দেখেও কিছু বলল না।
ডক্টর আরো কিছু মেডিসিন দিল। মেডিসিন নিয়ে আরাবিকে ধরে ধরে গাড়িতে নিয়ে বসিয়ে দিল।
আহার ড্রাইভ করছে, হঠাৎ আরাবি খেয়াল করল আহানের হাতে রক্ত।
আরাবি:- আহান ভাইয়া তোমার হাতে রক্ত।
আহান অবাক হয়ে তাকাল, আরাবির তাড়াহুড়ো করে হাত দিয়ে মুখ দেখে নিল (তুমি বলার কারনে) .................
No comments:
Post a Comment