🏠
গল্পের নাম: বুদ্ধির ঠেলা
গল্পের শুরু:
ছোট্ট একটি গ্রাম, নাম ছায়াপুর। এই গ্রামে দুইজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিল – রতন আর গদাধর। তবে তাদের পরিচিতি কোনো মহান কারণে নয়, বরং নিজেদেরকে "সবচেয়ে বুদ্ধিমান" প্রমাণ করার অদ্ভুত প্রতিযোগিতার জন্য। তারা প্রায়ই এমন সব কাজ করত, যা গ্রামের লোকদের জন্য ছিল হাসির খোরাক।
প্রথম ঠেলা:
একদিন রতন ঘোষণা দিল, সে এমন একটা যন্ত্র বানাবে যা মুরগির ডিম ভেঙে দিবে না, কিন্তু মানুষ হাত দিলে সোজা ডিম গড়িয়ে পড়ে যাবে। গ্রামবাসী তো এমন আবিষ্কারে অবাক। কিন্তু গদাধর কি চুপ থাকে? সে পাল্টা বলল, "আমি এমন একটা যন্ত্র বানাব, যেটা দিয়ে একসঙ্গে দশটা ডিমের উপর হাত দিয়ে না ভেঙে খাওয়া যাবে।" দু’জন মিলে শুরু করল নিজেদের যন্ত্র তৈরির কাজ।
🏠
রতনের যন্ত্র তৈরি হলো – একটি ঝুড়ি, যেটার চারপাশে পাতলা দড়ি বাঁধা। দড়িতে সামান্য টান দিলেই ঝুড়ি উল্টে যাবে। সে গর্ব করে ঘোষণা দিল, "এটাই হলো বুদ্ধির কাজ!" কিন্তু যেই না সে ডিম রাখতে গেল, নিজের ভুলে দড়িতে পা পড়ে পুরো ডিম ভেঙে গেল। গ্রামবাসী হেসে কুঁচকে গেল।
দ্বিতীয় ঠেলা:
গদাধর তার যন্ত্র বানাল – একটি বড় সিলিকনের খাঁচা, যেখানে ডিম রাখা যাবে। কিন্তু ডিম তুলতে গিয়ে হাত আটকে গেল, আর দড়ি টানতেই খাঁচা উল্টে গেল। গদাধর রাগে ফেটে পড়ল।
তৃতীয় ঠেলা:
তারা দু’জন মিলে ঠিক করল, এবার গ্রামের পুকুরের মাছ ধরার প্রতিযোগিতা করবে। রতন পুকুরে একটি মশারি ফেলে বলল, "এই মশারির ভেতরে ঢুকলে কোনো মাছ বেরোতে পারবে না।" কিন্তু মাছ তো কোথায় যাবে! তারা সহজেই ফাঁদ এড়িয়ে গেল।
গদাধর তখন বলল, "আমি পুকুর শুকিয়ে মাছ ধরব।" সে পুকুর থেকে পানি বের করার জন্য কলসি ব্যবহার করল। গ্রামের লোকেরা তখন বলল, "গদাধর, তুই তো পুকুর শুকাতে গিয়ে নিজের ঘরেই বন্যা লাগিয়ে দিয়েছিস!"
শেষ:
শেষে রতন আর গদাধর বুঝল, তাদের এই বুদ্ধির ঠেলা আসলে গ্রামবাসীর মজা দেখার জন্যই উপযুক্ত। তাই তারা ঠিক করল, এবার থেকে নিজেদের "বুদ্ধিমান" প্রমাণ করতে গিয়ে নিজেরাই ফাঁদে পড়বে না।
গ্রামের সবাই তখন একসঙ্গে বলল, "এই হলো আসল বুদ্ধির ঠেলা!"
মোরাল:
অযথা বুদ্ধি খাটাতে গেলে উল্টো হাসির পাত্র হওয়া লাগে।
আপনার কেমন লাগল? কিছু বদল চাইলে বলতে পারেন!🏠
No comments:
Post a Comment